বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। বাহিনীর সদস্যরা এখন চুক্তিতে নির্ধারিত মোতায়েন সীমারেখায় ফিরে গেছে বলে জানিয়েছে তারা।
মোতায়েন সীমারেখা বলতে নির্দিষ্ট অঞ্চলে সামরিক বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের সর্বোচ্চ সীমা বা সীমাকে বোঝায়, যা দেশ বা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। এই সীমারেখা যুদ্ধবিরতি চুক্তি, নির্দিষ্ট এলাকার নিরাপত্তা, বা জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপটে নির্ধারিত হতে পারে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, সৈন্যরা শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুর থেকে হালনাগাদ মোতায়েন সীমারেখা বরাবর নিজেদের অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দক্ষিণ কমান্ডের আওতাধীন এলাকায় মোতায়েন থাকা আইডিএফ সদস্যরা সেখানে অবস্থান করবে ও যেকোনো তাৎক্ষণিক হুমকি দূর করার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ তথ্যমতে, আইডিএফ বর্তমানে গাজা উপত্যকার ৫৩ শতাংশ এলাকায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যার অধিকাংশই শহরাঞ্চলের বাইরে অবস্থিত।
এদিকে, এখন থেকে প্রতিদিন ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাককে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির আর্মি রেডিওর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, যুদ্ধ চলাকালে গাজা ছেড়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঘরে ফেরারও অনুমতি দেওয়া হবে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ দিক থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে এই ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো সালাহ আল-দিন ও আল-রাশিদ সড়ক দিয়ে চলাচল করবে। এসব ট্রাকের মাধ্যমে খাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আশ্রয়সামগ্রী ও জ্বালানি সরবরাহ করা হবে।
ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে থাকবে জাতিসংঘ, স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত একটি ব্যবস্থা, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা
আর্মি রেডিওর তথ্যমতে, গাজার বাসিন্দারা রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিসরেও যাতায়াত করতে পারবেন, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারির চুক্তির আওতায় আগেও সীমিতভাবে অনুমোদিত ছিল। তবে এই যাতায়াত ইসরায়েলের অনুমোদনসাপেক্ষে হবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তত্ত্বাবধান ও পরিদর্শনের অধীনে পরিচালিত হবে, বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা